কার্মা আয়ুর্বেদ রিভিউ

আমি আমার অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের জন্য অনেক ধরনের চিকিৎসা নিয়েছিলাম, কিন্তু সমস্যাগুলো বারবার ফিরে আসছিল। প্রতিটি জায়গা থেকে হতাশ হয়ে আমি চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমি কার্মা আয়ুর্বেদা সম্পর্কে জানতে পারি। অনেকেই ভেবেছিলেন এটি একটি প্রতারণা হতে পারে, কিন্তু অনেক ইতিবাচক রিভিউও ছিল। আমি সেখানে গিয়ে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডঃ পুনীত ধাওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিই। আমি যে সব নেতিবাচক রিভিউ পড়েছিলাম, তার সব ধারণা বদলে যায়। এটি একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ছিল এবং আমি এখন অনেক ভালো আছি।

আমার মা পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজে ভুগছিলেন এবং অনেক চিকিৎসা নেওয়ার পরও কোনো কার্যকর ফলাফল দেখা যাচ্ছিল না। আমি তার জন্য বিকল্প চিকিৎসা খুঁজতে শুরু করি এবং পরিচিত একজন আমাকে কার্মা আয়ুর্বেদার পরামর্শ দেন। অনেক কিডনি রোগী এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন, কারও উপকার হয়েছে আবার কেউ কিছু অভিযোগ করেছেন যেমন গুগলে দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করেন এটি প্রতারণা, কিন্তু সেটি একদম ভুল। আমার মা এক বছর আগে এখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নেন এবং এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।

কার্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা ভুয়া বা প্রতারণা নয়। আমি অনেক নেতিবাচক রিভিউ পড়েছি এবং দেখেছি, কিন্তু এখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর আমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। আমি নেফ্রোটিক সিনড্রোমে ভুগছিলাম এবং আমার গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। এর মোকাবিলায় আমি তাদের হারবাল চিকিৎসা গ্রহণ করি, সময়মতো ওষুধ নিই এবং ডাক্তারদের নির্দেশনা অনুসরণ করি। আমি চিকিৎসায় খুব সন্তুষ্ট এবং আমার উপসর্গ অনেকটাই কমে গেছে।

প্রথমে, কিডনি ফেলিওর অবস্থার কারণে আমি খুব হতাশ ছিলাম। এমনকি ডায়ালাইসিসেও কোনো উপকার হচ্ছিল না। আমি যখন কার্মা আয়ুর্বেদাতে যাই, তখন অনেক নেতিবাচক রিভিউ দেখে আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু এখানে আসার পর আমি বুঝতে পারি সেই অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। ডাক্তারদের দেওয়া ওষুধ খুব কার্যকর ছিল, যদিও একটু ধীরে কাজ করে। আমি আয়ুর্বেদিক কিডনি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া রেনাল ডায়েট চার্ট মেনে চলেছি এবং এখন আমার কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হয়েছে। আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করিনি।

আমার নাম বিকাশ এবং আমি আমার কিডনি চিকিৎসা কার্মা আয়ুর্বেদা থেকে নিয়েছি। আমি ডঃ পুনীত ধাওয়ানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা পেয়েছি। আমি কিডনি রোগের কিছু চরম উপসর্গ এবং জটিলতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমি ইউটিউব থেকে কার্মা আয়ুর্বেদা সম্পর্কে জানতে পারি এবং আগে আমি কেবল অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় ছিলাম, যা আমাকে দীর্ঘস্থায়ী আরাম দিচ্ছিল না। তারপর আমার এক বন্ধু আমাকে ডঃ পুনীত ধাওয়ানের পরামর্শ নিতে বলে এবং শুরুতে আমি সন্দেহ করছিলাম এটি ভুয়া বা প্রতারণা কিনা। তবে আমি এখানে এসেছি এবং চিকিৎসার ফলাফল ইতিবাচক ছিল।

সপ্তাহে দু'বার বা তিনবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরো রক্ত পরিশোধন করানো খুবই কষ্টকর অভিজ্ঞতা। আমার ক্রিয়েটিনিন লেভেল স্বাভাবিক হচ্ছিল না, তাই আমার অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার আমাকে ডায়ালাইসিস নেওয়ার পরামর্শ দেন জীবন বাঁচানোর জন্য। ডাক্তার বলেছিলেন আমার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না এবং আমি দুর্বলতা, শরীরে ফোলা, হাঁটতে অসুবিধা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলাম। তখন আমি এই দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার জন্য কার্মা আয়ুর্বেদার সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং ডঃ ধাওয়ানের সাথে দেখা করি। শুরুতে অভিযোগ আর নেতিবাচক রিভিউ দেখে বিভ্রান্ত ছিলাম। কিন্তু মাত্র ২৮ দিনের ওষুধ খাওয়ার পরই আমি ভালো বোধ করতে শুরু করি এবং সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ শনাক্ত করা কঠিন কারণ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীরা উপসর্গ বুঝতেই পারেন না, যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। আমার ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে গিয়েছিল, যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আমি ও আমার স্ত্রী সমস্যার সমাধানে কার্মা আয়ুর্বেদার সাহায্য নিই। ডঃ পুনীত ধাওয়ান আমাকে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এবং কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেন যেগুলো খেতে খুবই তিতকুটে ছিল। কিন্তু আমার হাতে আর কোনো উপায় ছিল না, তাই মেনে নিই। মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। অনেক নেতিবাচক রিভিউ আছে, কিন্তু সেগুলোর দিকে নজর দেবেন না। এটা সত্যিই উপকারী।

প্রায় ২ মাস আগে আমি আমার কিডনির সমস্যার জন্য কার্মা আয়ুর্বেদায় যাই, কারণ আমার ক্রিয়েটিনিন লেভেল অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ফোলা, মাথা ঘোরা, বমি, খাওয়ার রুচি না থাকা — এসব উপসর্গ দেখে আমি শরীরের সম্পূর্ণ চেকআপ করাই। তখনই জানতে পারি আমার কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। আমি সব সময় আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করি, তাই ডঃ পুনীত ধাওয়ানের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অনেক বন্ধুরা বলেছিল এটা প্রতারণা, ভুয়া, অনেক অভিযোগ আছে — কিন্তু আমার আর কোনো বিকল্প ছিল না। অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের বদলে তিনি আয়ুর্বেদিক হার্বস ব্যবহার করেন কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। তাঁর চিকিৎসা প্রমাণ করে যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সবসময় ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হয় না।

ডঃ পুনীত ধাওয়ান হলেন একজন সুপরিচিত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক যিনি কিডনি রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, আমি এটা বলছি আমার অভিজ্ঞতা থেকে। আমি আগে কখনও দিল্লি যাইনি, কিন্তু আমার ভাইপো, যিনি ওখানে থাকেন, আমাকে এখানে চিকিৎসা নিতে বলেন। আমার অনেক সন্দেহ ছিল— এটা ভুয়া না আসল? এত অভিযোগ আর নেতিবাচক রিভিউ কি সত্যি? শেষ পর্যন্ত আমি ওর কথা শুনে ডঃ ধাওয়ানের পরামর্শ নিই। তিনি ধৈর্য ধরে আমার অবস্থা শোনেন এবং বলেন, তাদের ইন-হাউস ল্যাবে আমি ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করাতে পারি। আমি টেস্ট করিয়ে দেখি আমার ক্রিয়েটিনিন তখন ছিল ৬.৩। তাঁর আয়ুর্বেদিক ওষুধ আমার ওপর কার্যকর হয় এবং ধীরে ধীরে আমার স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে থাকে।

আমার স্ত্রীর নাম রজনী শর্মা। তিনি গত ৩ বছর ধরে নেফ্রোটিক সিনড্রোমে ভুগছিলেন। কার্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা শুরু করার আগে আমরা অনেক অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু তেমন কোনো উন্নতি পাইনি। চিকিৎসকদের মতে, প্রোটিন লসের কারণে তিনি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। মাথা ঘোরা, বমি, খাওয়া সহ্য না হওয়া এবং মানসিক চাপ ছিল তার প্রধান সমস্যা। তার অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হত। যখন আমরা আয়ুর্বেদার কথা ভাবলাম, তখন প্রতারণা বা ভুয়া হওয়ার ভয় ছিল। হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে কার্মা আয়ুর্বেদার বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। ডঃ পুনীত ধাওয়ান ধৈর্য সহকারে আমাদের অবস্থা শোনেন এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পরামর্শ দেন। ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে তার অবস্থা অনেক ভালো হয়ে যায়, এবং এটা ছিল আমাদের জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।